গল্পটা বিশ্বের সবচেয়ে ফ্লেক্সিবেল নারীর

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানুষ  বড়ই  অদ্ভুত। অদ্ভুত তাদের শখ, তাদের চাওয়া-পাওয়া। মানুষের চেয়ে বেশি অদ্ভুত প্রকৃতি। তাই কখনো প্রকৃতির খেয়ালে অথবা মানুষের অদ্ভুত শখের কারণে ব্যতিক্রম সব ঘটনার জন্ম হয়। আর এই সব ঘটনা এতোটাই ব্যতিক্রম যে দ্বিতীয় কোনো মানুষের পক্ষে সেই ঘটনা দ্বিতীয় বার জন্ম দেওয়া বা চেষ্টা করার সাহস হয় না। ফলে এগুলোর রেকর্ড হয়ে থাকে বছরের পর বছর। ঠাই পায় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।

পৃথিবীর সবচেয়ে নমনীয় নারী

পৃথিবীর সবচেয়ে নমনীয় নারী

আজ জানাবো তেমনই এক নারীর কথা। যাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ফ্লেক্সিবেল বা নমনীয় নারী বলা হয়ে থাকে। ৩৫ বছর বয়সী এই নারীর নাম লেইলানি ফ্র্যাঙ্কো। নিজেকে যখন যেভাবে ইচ্ছা ভাঁজ করে নিতে পারেন তিনি, প্রয়োজনে নিজেকে ভাঁজ করে পা দিয়ে চা পান করতে পারেন। তার বডি এতোটাই ফ্লেক্সিবলে বা নমনীয় যে, সে তার পা দিয়ে খেতে পারেন, সে উল্টো হয়ে হাত-পা দিয়ে একসঙ্গে হাঁটতে পারেন, তাছাড়া সে পা দিয়ে হাতে পায়ে নেল পলিশও পরতে পারে। এমনকি পা দিয়ে তিনি দাবাও খেলতে পারে। কনস্টোরোস্টিস্ট অথবা বিভঙ্গ বিনোদন হিসেবেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে লেইলানি ফ্র্যাঙ্কো।

এভাবে স্টেজে গান করছেন তিনি

এভাবে স্টেজে গান করছেন তিনি

১৯৮৬ সালের ৯ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মাত্র ছয় বছর বয়স থেকে তার যাত্রা শুরু। এরপর ১৬ বছর বয়সে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় সে পিয়ানো বাজানো থেকে শুরু করে নাচ-গান এমনকি মার্শাল আর্ট ও জিমন্যাস্টিকসে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। সেখানকার এক ব্যালেট থিয়েটারে ভর্তি হন লেইলানি ফ্র্যাঙ্কো। তারপর সে কানাডার কিউবেকের মনট্রিয়াল শহরের ‘ইকোল ন্যাশনাল দে সির্ক’-এ যোগদান করেন। তিনি সেখান থেকে ২০০৫ সালে তার শরীরের বিস্ময়কর নমনীয়তা আবিষ্কার করেন। এরপর ২০০৮ সালে সার্কাস এবং চাইনিজ পোল ডান্স করা শুরু করেন।

পা দিয়ে দিব্যি দাবা খেলছেন

পা দিয়ে দিব্যি দাবা খেলছেন

২০০৮ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফ্র্যাঙ্কো সির্ক-এলয়েজে কনস্টোরোস্টিস্ট হিসেবে একচেটিয়াভাবে কাজ করেছেন। ২০১১ সালে তিনি লন্ডনের সাউথ ব্যাংকের বিভিন্ন ক্লাব এবং ক্যাবারেটে যেমন দ্যা বক্স সোহো, ক্যাফে ডি প্যারিস, সুপারপারক্লাব, ওল্ড ভিক টানেলস এডিনবার্গ ফ্রঞ্জ ফেস্টিভাল ও পুরনো বুম বুম ক্লাব (বর্তমান বুম এবং ব্যাং সার্কাস) এবং বিভিন্ন শোতে ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে পাড়ি জমান।

২০১৩ সাল থেকে তিনি জার্মানিতে সেবেস্টিয়ানো টোমার মাধ্যমে দ্যা লিটল বিগ ওয়ার্ল্ড শোতে অংশ নিয়েছেন। তিনি প্রতিস্থাপন হিসেবে ক্যামিলিয়ন থিয়েটারে ডামি শোতে কাজ করেছিলেন।

২০১৪ সালে গিনিস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নাম উঠেছে তার

২০১৪ সালে গিনিস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নাম উঠেছে তার

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে স্টেজ শোও করেন নমনীয় এই নারী। ২০১৪ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নাম উঠেছে। এছাড়াও তার আরো তিনটি রেকর্ডে রয়েছে। ১০ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত ৬৫ ফিট, ৭ দশমিক ২ ইঞ্চি পর্যন্ত পেছন দিয়ে মাথার এক জায়গায় রেখে হাঁটতে পারেন। এমনকি সে ভালো রোলিংও করতে পারেন। তিনি আগামী দিনগুলোতে এই পেশায় কাজ করতে চান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর